স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা,বাঁচার আকুতি ফেনীবাসীর

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা,বাঁচার আকুতি ফেনীবাসীর

ভয়াবহ বন্যা দেখছে ফেনীবাসী । ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখছে। সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দা ও পথচারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পানিবন্দি জেলার পাঁচ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদের লাখ লাখ মানুষ। সম্পদ রেখে এক কাপড়েই বসতভিটা ছেড়ছে সকলে। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাঁচার আকুতি তাদের।

খাবার নয়, প্রাণ বাঁচানোই মুখ্য হয়ে উঠেছে মানুষের। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলার। শহর ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী শহরের মিজান রোড, একাডেমি রোড, শাহীন একাডেমি, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর, তাকিয়া রোড, আবু বক্কর সড়ক, ফেনী বড় বাজারের বিভিন্ন গলি, বারাহীপুর এলাকা, মহিপাল চৌধুরী বাড়ী সড়ক, পাঠান বাড়ী রোডসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

এসব সড়কে চলাচল করতে গিয়ে পানি প্রবেশ করেসিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারী ও বাসিন্দারা। নেই বিদ্যুৎ সংযোগও। সম্পদ রেখে এক কাপড়েই বসতভিটা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাঁচার আকুতি তাদের।

ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ারসার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তবে দুর্গত এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ও পানির প্রবল স্রোত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। বেশিরভাগ এলাকার একচালা ও একতলা পাকাঘর ডুবে গেছে।

কোথাও আশ্রয় নেয়ার মতো অবস্থা নেই। বর্তমানে সেনা ও কোস্টগার্ডের ২৪টি বোট উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। পাওয়া যাচ্ছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক।

রাতভর আতঙ্ক, মানুষের আর্তনাদ আর বন্যার প্রবল বিধ্বংসী রূপ দেখে ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের পথে ছুটছে সবাই। ফেনী পৌরসভার সচিব সৈয়দ মো. আবুজর গিফরী বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সড়ক থেকে পানি নামতে সময় লাগছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন ড্রেন পরিষ্কারে কাজ করছে। পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password