বর্তমানে লকডাউনে বোরো ধান ঘরে তোলার জন্য শ্রমীকের সংকটে পড়তে হচ্ছে কৃষককে। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড় বেলালদহ গ্রামের কৃষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন শ্রমীক ও অর্থ সংকটের কারণে ৩৩ শতক জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন।
ধান পাকা পরেও করোনা মহামারীর কারণে শ্রমিক সংকট এবং টাকার অভাবে ধান কাটতে পারছিলেন না কৃষক গিয়াস উদ্দীন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার সময় মান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান (রিপন) কে ধান কাটার বিষয়টি অবহিত করে এবং তার শ্রমিক সংকটের কথাটি জানায়।
জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সম্মানিত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নির্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান (রিপন) গিয়াসউদ্দিনকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন আগামী কাল শুক্রবার সকালে আপনার ধান কেটে দিব ইনশাল্লাহ।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ৮ টায় মোস্তাফিজুর রহমান (রিপন) এর নেতৃত্বে ১৫-২০ নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন এর জমির পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে মাড়াই করে দেন।
পাকা ধান কেটে বাড়ি তুলে দেওয়ায় কৃষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন-পেশায় আমি একজন দিনমজুরি । লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। কিন্তু অর্থ ও শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ৩৩ শতক জমির ধান কেটে দেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন