যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের পক্ষে ওয়াশিংটনের সমর্থন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। বিশ্বব্যাপী কূটনীতি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জোরদারের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম পরিদর্শন ও সেখানে কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে বাইডেন একথা বলেন।
বাইডেন বলেন, ইয়েমেন আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। দেশটিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় সেখানে মানবিক ও কৌশলগত বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় কূটনীতির মাধ্যমে দেশটিতে চলমান পাঁচ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটানো সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসাবে টিমোথি লেন্ডারিংয়ের নাম ঘোষণা করেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, এই যুদ্ধের ইতি টানতে হবে। আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইয়েমেন যুদ্ধে অস্ত্র বিক্রিসহ আমেরিকার সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছি। অবশ্য সৌদি আরবের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে ধারাবাহিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে’ ওবামার পর ইয়েমেনে হামলা চালাতে সৌদি আরবকে সমর্থন দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করে বাইডেনের প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের সাতদিনের মাথায় মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশ ইরানের চিরবৈরী এই দুই দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা এই অস্ত্র দিয়েই মূলত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাতো দেশ দুটি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ‘পুনর্নিমাণের’ অঙ্গীকার করেছিলেন বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান প্রধান বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বা পর্যালোচনা করতে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন নতুন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন