মেঘলা খাতুন নামে ১৮ বছর বয়সী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ লাশ ঘিরে তৈরি হয়েছে কিছু রহস্য। তাই ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে পাবনার ঈশ্বরদীতে। বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের সাড়াঁগোপালপুর ইরকোন গেট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মেঘলা ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের সিভিলহাট গ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে।
মেঘলার স্বামীর নাম আশিক ইসলাম। তিনি ইরকোন গেট এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। মাত্র ছয় মাস আগে আশিকের সঙ্গে প্রেম করে মেঘলার বিয়ে হয়। পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর থেকে মেঘলার স্বামী আশিক পলাতক রয়েছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শাশুড়ি মুরশিদা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
গৃহবধূর শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন বুধবার রাত ১১টার দিকে তার ছেলে ও পুত্রবধূ ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ঘুম ভাঙলে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে মেঘলাকে ঝুলতে দেখেন ছেলে। এ দৃশ্য দেখে হতবিহবল হয়ে চিৎকার করেন তিনি। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বিষয়টি দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর মেঘলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে ভালোবেসে আশিক ও মেঘলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ রহস্যজনক কারণে মৃত্যু হলো মেঘলার।
মেঘলার বাবা হাফিজুল অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে আশিক। আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন