শার্শায় নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার।

শার্শায় নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার।

শার্শায় নিখোঁজ হওয়ার ৫দিন পর ইসরাফিল হোসেন (৩৮) নামে এক যবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে। নিহত ইসরাফিল হোসেন ঐ গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে। 

জানা যায়, তিন বন্ধু একই সঙ্গে সব সময় থাকতেন। ব্যবসা করতেন তিনজন একই সাথে। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা। বন্ধুত্বের টানাপোড়েন শুরু হয় নানা কারণে। তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।

প্রথমে বন্ধুর পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে লেলিয়ে দেয় অপার বন্ধু ইসরাফিল হোসেনের দিকে। একসময় ইসরাফিল বন্ধুর স্ত্রীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ২৭ আগস্ট রাতে কৌশলে ইসরাফিলকে একটা নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে হত্যা করে। তারপর তাকে পার্শ্ববর্তী কবর স্থানে বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।

বুধবার (১সেপ্টেম্বর) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে এসেছে। নিখোঁজের পরে ৩ জনকে আটক করে গোয়েন্দা সদস্যরা। আটকৃতদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ ও ডিবি ঘটনাস্থল থেকে বিকাকে লাশ উদ্ধার করে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম জানান, ইসরাফিল ২৭ আগস্ট রাতে বাড়ী থেকে বাহির হয়। পরের দিন তার আত্মীয়-স্বজনসহ চারিদিকে খোঁজখবর নেয়ার পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে ২৯ আগস্ট তার স্ত্রী শার্শা থানায় একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অনুসন্ধানের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)’র শরণাপন্ন হই।

এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সমন্বয়ে সন্দেহ ভাবে অনুসন্ধান করে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তাকে হত্যা করে উলাশী কাশিয়াডাঙ্গা দুর্গম জঙ্গলে কবরস্থানে মাটি নিচে পুঁতে রেখেছে। বুধবার বিকালে জঙ্গলের ভিতর কবরস্থান থেকে মাটিচাপা দেওয়া বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password