নরসিংদীর শিবপুর পৌর এলাকার বানিয়াদীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়িতে পড়ে থাকা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় লোকজন লোকটিকে পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহীন পাঠান (৪০)। তিনি শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের বাহেরদিয়া গ্রামের মৃত বেনু পাঠানের ছেলে; পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে প্রয়োজনীয় বাজারসদাই করার জন্য শিবপুর বাজারে আসার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে শাহীনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় পরিবারের সদস্যদের। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, বাজারসদাই করা শেষ, কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে ফিরবেন। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি শাহীন। আতঙ্ক থেকে প্রতিবেশী ও স্বজনদের মুঠোফোনে কল করে তাঁর খোঁজ নেওয়া হয়।সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পৌর এলাকার বানিয়াদীর একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়িতে শাহীনের লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়।
শাহীনকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে জানান, আগেই শাহীনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা জানতে পেরে নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। পরে শিবপুর থানা–পুলিশ সেখানে এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শিবপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারহানা আহমেদ বলেন, শাহীন পাঠান নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর শরীরের কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, কিছুদিন আগে তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাথায় আঘাত পান। ওই ঘটনায় তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। এর পর থেকে তিনি মাঝেমধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করতেন।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন