বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রাবাহী বাসে ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার করা রোরকা পরা অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মিলেছে। তিনি সৌদি প্রবাসী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা। মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।তিন সন্তানের জননী সাবিনা মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কাতার প্রবাসী স্বামীর সহায়তায় বিদেশে লোক পাঠাতো সাবিনা। সাবিনার দেবর মনির হাওলাদার জানান, তার ভাইয়ের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকার খালেক হাওলাদার বেশ কিছুদিন আগে ৪ লাখ টাকা দেয় তার ভাবিকে। বিলম্ব হওয়ায় খালেক বিদেশে যেতে অসন্মতি জানালে ভাবি সম্প্রতি তাকে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেয়।
শুক্রবার সকালে দুই সন্তান নিয়ে দিয়াসুরের বাড়ি আসে ভাবি। সকাল ১০টার দিকে খালেক ডাকছে বলে বরিশাল যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সারাদিনেও বাড়ি না ফেরায় সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। রাতে ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে বাসের ছাদে ব্যারেলের মধ্য থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দিনভর চেষ্টা এবং তার আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে তাদের খবর দেওয়া হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, সাবিনার মোবাইল ট্রাকিং করে দেখা গেছে শুক্রবার তিনি বরিশাল নগরীতে গিয়েছিলেন। টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাবিনার মাথার পেছনের দিকে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ গুম করতে ব্যারেলের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে এক ব্যক্তি গড়িয়ারপাড় থেকে ভূরঘাটাগামী বাসের ছাদে ব্যারেলটি তুলে দেয়। বাসটি ভূরঘাটা পৌঁছার পর মালিক দাবিদার কেউ ব্যারেল না নেওয়ায় বাসের শ্রমিকদের সন্দেহ হয়। বাসের শ্রমিকরা ব্যারেলের মুখ খুলে এক নারীর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিনভর চেষ্টার পর সন্ধ্যায় ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হই।
এ ঘটনায় থানার এসআই আব্দুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন ওসি আফজাল হোসেন নিজেই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন