শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের স্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুরের বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার সেই শিশু গৃহকর্মী সাদিয়া আক্তার ফেলি (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ দিনের মাথায় মারা যায় সে। গৃহকর্মী শিশু সাদিয়া শ্রীরদী পৌর শহরের মুন্সীপাড়া মহল্লার দরিদ্র ট্রলিচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ওই শিশুর লাশ এলাকায় নিয়ে আসা হবে। এরপর তার নির্যাতনের মামলায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পাষ- গৃহকর্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুর (৩৫) জেল হাজতে থাকলেও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও দাবির পরও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি গৃহকর্তা শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খোকার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিল।
পুলিশ বলছে, মামলায় গৃহকর্তাকে আসামি করা হয়নি। আর স্থানীয় সূত্রসহ গৃহকর্ত্রীর পরিবারের লোকজনের দাবি, গৃহকর্তার জ্ঞাতসারেই তার বাসায় গৃহকর্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত ওই নির্যাতন চালিয়েছে। ময়মনসিংহে সাদিয়ার লাশের পাশে অবস্থান করা তার বাবা সাইফুল ইসলাম গৃহকর্তা আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবিব শাকিলকে গ্রেপ্তারসহ তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শ্রীবরদী পৌর শহরের মুন্সীপাড়া মহল্লার দরিদ্র ট্রলিচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া ওরফে ফেলি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিল ও রুমানা জামান ঝুমুর দম্পতির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। কাজে সামান্য ভুল হলেই গৃহকর্ত্রী ঝুমুরের বেদম প্রহার ও খুন্তির ছ্যাকার কারণে তার মাথায়, পিঠে ও কাধে গুরুতর জখম ও দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহকর্মী সাদিয়াকে উদ্ধার ও গৃহকর্ত্রী ঝুমুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে গৃহকর্তা শাকিল গা ঢাকা দেন। পরে গৃহকর্ত্রী ঝুমুরকে একমাত্র আসামি করে মামলা গ্রহণ করে থানা পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন