দেশে এই প্রথম নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের একজন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি) ।
সিটিটিসি বলছে, এর আগে তাদের হাতে আর কোনো নারী জঙ্গি গ্রেফতার হননি। তাদের হাতে আটক নাবিলাই প্রথম উচ্চ প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গি। এর আগে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত নারী সদস্য গ্রেফতার হলেও তারা নাবিলার মতো উচ্চ প্রশিক্ষিত ছিলেন না।
সিটিটিসি সুত্রমতে, জঙ্গি সংগঠনের একটি ফেসবুক পেজে নাম পরিচয় গোপন রেখে ফেক একাউন্টের(যেটি নাবিলার ছিল) সন্দেহ জনক আচরণে সেখান থেকে তার উপর নজরদারির আনুষঙ্গিক কার্যাবলী পরিচালনা করে আসছিল গোয়েন্দারা। নাবিলার সাথে জঙ্গি সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদেরও ভালো যোগাযোগ ছিলো । সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং এপ্লিকেশন ব্যবহার করে জঙ্গিবাদের প্রচার ও প্রচারনা চালাতো।
সে একাকী কিলিং মিশন পরিচালনা, স্লিপার সেলগুলোতে গোয়েন্দাদের অনুপ্রবেশ ও প্রতিরোধের উপায়, নীরবে হত্যার কৌশল এবং বোমা তৈরির কৌশল সম্পর্কে উচ্চ প্রশিক্ষিত ছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং এপ্লিকেশন ব্যবহার করে অন্যদেরও প্রশিক্ষন দিয়ে আসছিলো। এছাড়াও নাবিলার পরিবার হাজার চেষ্টা করেও তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। পরিবারের সদস্যদের অমতেই সে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বেরিয়ে পড়ে। আটককৃত জঙ্গি নাবিলা যেকোনো জায়গায়, যেকোনো দেশে জিহাদ করার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল বলে জানায় সিটিটিসি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন