সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় তার বাবা আব্দুল বাছির, চাচা নাছির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ ঘটনায় অপর দুই চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির ও জমসেদ আলীকে খালাস দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজজামান শিকদার।
সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে কেজাউড়া গ্রামে প্রতিপক্ষ ছালাতুলদের ফাঁসানোর জন্য ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয় শিশু তুহিনকে। এরপর মরদেহ বাড়ির পাশে একটি কদম গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আসামিরা শিশু তুহিনের কান, পুরুষাঙ্গ কেটে পেটে প্রতিপক্ষের নাম লেখা দুটি চাকু ডুকিয়ে রাখে। মামলায় দুই আসামি চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আদালতে খুনের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় নিহত তুহিনের মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের মোল্লা তদন্ত শেষে বাবা-চাচা ও ভাইসহ ৫ আসামির বিরোদ্ধে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এ মামলার কিশোর আসামি শাহরিয়ারকে ১০ মার্চ শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন ৮ বছরের আটকাদেশ দেন। পূর্ব শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে কেজাউড়া গ্রামের প্রতিপক্ষ ছালাতুল ও তুহিনের চাচা আব্দুল মচ্ছবিরদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাম্য বিরোধ চলছিলো। এ কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসতে তুহিনের বাবা চাচা ও ভাই তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। বাদী পক্ষের আইনজীবী পিপি শামছুন নাহার বেগম জানান, তুহিন হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। আদালতের রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন