মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা প্রদেশে ঘটেছে এক পৈশাচিক কাণ্ড। ৪২ বছর বয়সী ওকলাহোমা শহরের এক বাসিন্দা তার প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন। এরপর হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে রান্নাও করেছেন। ভূতের আছর থেকে বাঁচাতে পরিবারের সদস্যদের হৃৎপিণ্ড করে রান্না খাওয়ানোর পরিকল্পনাও করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় গণমাধ্যম ‘দ্য ওকলাহোমা’র বারত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লরেন্স অ্যান্ডারসন (৪২) ওকলাহোমার চিকাশার বাসিন্দা। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি তার প্রতিবেশী আন্দ্রেয়া লিন ব্ল্যাঙ্কেনশিপকে (৪১) ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ। পরে অ্যান্ডারসন তার হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে নেন। এরপর হৃৎপিণ্ড নিয়ে যান তার চাচা-চাচির বাড়ি।
ওকলাহোমা স্টেট ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (ওএসবিআই) একটি অনুসন্ধান ওয়ারেন্টে লিখেছে, তার বাড়ির পাশেই ছিল চাচা-চাচির বাড়ি। ওএসবিআইয়ের একজন এজেন্ট জানান, ওই ব্যক্তি (লরেন্স অ্যান্ডারসন) আলু দিয়ে হৃৎপিণ্ড রান্না করেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রান্না করা ওই হৃৎপিণ্ড তার পরিবারকে খাওয়াবেন। ভূতের আছর থেকে তার পরিবারকে বাঁচাতে এই কাজ করেছিলেন।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার চাচা লেওন পাই এবং তাঁর চার বছরের নাতনি কেওস ইয়েটসকে হত্যা করেন। এর আগে অ্যান্ডারসন তার চাচি ডেলসি পাইকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন। বেঁচে যান ডেলসি পাই। এত কিছু করেও রক্ষা পাননি অ্যান্ডারসন। স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করে ওই ঘটনার দিনই।
এদিকে আন্দ্রেয়া লিন ব্ল্যাঙ্কেনশিপের মরদেহ খুঁজে পায়নি স্থানীয় পুলিশ। লরেন্স অ্যান্ডারসনকে ওকলাহোমার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বর্তমানে লরেন্স অ্যান্ডারসন স্থানীয় গ্রেডি কাউন্টি জেলে বন্দি। তার অভিযোগগুলো এখন বিচারাধীন। গ্রেডি কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি জেসন হিক্স বলেছেন, তার মৃত্যুদণ্ডের নথিপত্র ‘টেবিলে রয়েছে’।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট (ইউকে)।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন