অনেকই সঞ্চয়পত্র কি এ বিষয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করে থাকেন। আসলে সঞ্চয়পত্র হচ্ছে একটি সঞ্চয় স্কিম বা ফিক্সড ডিপোজিট। জনগণের ঝামেলামুক্ত অর্থ বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করার অন্য নাম সঞ্চয়পত্র।
বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন সঞ্চয়পত্রে। তাই আসুন জেনে নেই সঞ্চয়পত্র কী ও সঞ্চয়পত্র কিভাবে কোথা থেকে করবেন।
সঞ্চয়পত্র কী: বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীনে জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা, বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে আহরণ করার উদ্দেশ্যে এবং সাধারণের ঝামেলামুক্ত অর্থ বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করার নামই হচ্ছে সঞ্চয়পত্র।
বড় করে এটিকে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের হাতে জমানো টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য ফেলে না রেখে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা লাভ করা যায়।
দেশের বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী, যেমন- নারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আসার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারের সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে আহরিত অর্থ দিয়ে জাতীয় বাজেট ঘাটতিও এর মাধ্যমে পূরণ করা যায়।
যেখান থেকে কিনবেন: বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে সকল ধরনের সঞ্চয়পত্র কেনা ও নগদায়ন করা যায়।
সঞ্চয়পত্রের প্রকারভেদ: বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। সেগুলো হচ্ছে:
- ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
- ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
- পরিবার সঞ্চয়পত্র
- পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও
- ডাকঘর সঞ্চয়পত্র।
সঞ্চয়পত্র কেন করবেন: সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর জন্যই নিরাপদ বিনিয়োগের নাম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো আপনি পেতে পারেন:
- ঝামেলামুক্ত ও ঝুঁকিহীন অর্থ বিনিয়োগ
- মেয়াদ শেষে এগুলো থেকে ভালো অঙ্কের মুনাফা পাওয়া যায়
- মুনাফার হার এফডিআরের সুদ থেকেও বেশি
- জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও ভাঙানো যায়
- মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফার হার কিছুটা কম হয়
- তবে যেকোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে এ হার বেশি থাকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন