১৯৮২ সালের ব্রিটিশ ফকল্যান্ড হঠাৎ করেই দখল করে নেয় আর্জেন্টাইন মিলিটারি। হটকারী এবং আচমকা এ ঝটিকা আক্রমণে ব্রিটিশ সেনারা আত্নসমর্পণ করলেও যুক্তরাজ্য নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব এর প্রশ্নে আপোষ না করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জিও-পলিটিক্যাল মারপ্যাচে যুক্তরাজ্যকে এ যুদ্ধে নিজের সীমানার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করতে হলেও ট্যাকটিক্যাল মারপ্যাঁচ,টেকনোলজিক্যাল এবং মিলিটারি সুপ্রিমেসী শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের এ যুদ্ধে জয়ী করে।
প্রতিরোধ গড়ে তুলেও যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে আর্জেন্টাইন বাহিনী। টানা ৭৪ দিনের যুদ্ধে ৬০০র বেশি আর্জেন্টাইন নিহত হয়। ১২ হাজারের বেশি আর্জেন্টাইন যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক হন। ফকল্যান্ড যুদ্ধে আর্জেন্টিনার কতটা খরচ হয়েছে তা নিয়ে পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্রিটেনের খরচ ছিল (১৯৮২ সালের হিসেবে) প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।এ যুদ্ধের পর আর্জেন্টিনা তার সামরিক বাহিনীকে মর্ডানাইজেশনের বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নেয়।প্রথম দিকে ব্রিটিশ-আর্জেন্টাইন সম্পর্ক খারাপ থাকলেও তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে ফ্রান্স এ যুদ্ধে ব্রিটেন এবং আর্জেন্টিনা উভয়কেই ডাবল এজেন্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। আধুনিক সময়ে ফকল্যান্ড আর্জেন্টিনা আবার দখল না করলেও স্টাডি কেস হিসেবে ''ফকল্যান্ড যুদ্ধের'' ফলাফল কে তাইওয়ান দখলের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে চীন।এ যুদ্ধের গতিবিধি,ফলাফল নিয়ে চীনের বেশ কিছু ক্লাসিফাইড রিসার্চ স্টাডি রয়েছে যদিও ২০২৭ সালের পূর্বে তাইওয়ানকে নিজের আয়ত্বে আনার কোন ইচ্ছে নেই চীনের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন