সাভারের আশুলিয়া মধুপুর এলাকায় জাবালে নুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামকে মারধর করার অভিযোগে শিক্ষক ইব্রাহীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব আহসানের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার কবির বাবুল এ তথ্য জানান।
তিনি জানান,এদিন ইব্রাহীমকে আদালতে হাজির করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন ।এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে আসামি ইব্রাহীম বলেন, ছাত্র রাকিবুল ইসলাম দুষ্ট প্রকৃতির ছিল। সে ইতিমধ্যে মাদ্রাসা থেকে দুই বার পালিয়ে গেছে। সে পড়ালেখায় অমনোযোগী ও দুষ্টামি করতো। এর জেরে ১১ সেপ্টেম্বর তাকে হাত পা বেধে মারধর করি। মাহফুজুর রহমান নামে আরেক ছাত্র তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। তাকেও হাত পা বেঁধে মারধর কর। ১২ সেপ্টেম্বর রাকিবুলের ফুফু তাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যায়। ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের মারধরের বিষয়টি এলাকার লোকজন জেনে যায়। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন রাকিবুলের বাবা এমদাদুল ইসলাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাদ্রাসার একটি কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম হাতে বেত নিয়ে শিশু শিক্ষার্থী রকিবুল ইসলামকে নির্দয়ভাবে পেটাচ্ছে। এক পর্যায়ে ওই শিশু শিক্ষকের পা ধরলেও তিনি ক্রমাগত পেটাতে থাকেন। একই সময় পাশেই মাহফুজ নামের অপর শিশু ছাত্রকে মারধরের পর দড়ি দিয়ে গাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন