স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অসহনীয় তাপপ্রবাহ কমেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমার কারণে শঙ্কা রয়েই গেছে। সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গিয়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশে ৬ জন মারা গেছেন।  এ ছাড়া ভারতেও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪ জেলার বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ভারতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এজন্য এখনও সমুদ্রবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। এছাড়া ৪০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নদীবন্দরগুলোতেও দেওয়া হয়েছে দুই নম্বর হুশিয়ারি সংকেত। কোথাও কোথাও এক নম্বর হুশিয়ারি সংকেতও তোলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বিকাল ৩ টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাস্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তীতে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিশাল আকারের এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি আঘাত না করলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ছিল। ফলে ভরাকটালের সঙ্গে বায়ুতাড়িত জোয়ার জলোচ্ছ্বাস তৈরি করে। এই জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল ভেসে যায়।

এতে বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।  শত শত গ্রাম তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘেরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছে উঠতি ফসল। জোয়ারের পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনার কয়রা ও বাগেরহাটের মোংলা। মোট কত ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন অঞ্চল সেই তথ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password