২৪ নভেম্বর, ২০২১ করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বিপদজনক ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে সর্প্রথম করোনা ভাইরােস মানব দেহে ধরা পড়ে। এর পর থেকে এটি লাফিয়ে লাফিয়ে সারা বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পথে আসলেও এবার নতুন আতঙ্ক জন্ম দিয়েছে ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও ৮ গুণ শক্তিশালি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুনিও ডি অলিভেরিয়া বলেন, এমন ভ্যারিয়েন্ট দেখে আমরা হতবাক। তিনি বলেন, ৫০ বারের মতো এটি জিন পরিবর্তিত হয়ে ওমিক্রন রূপে এসেছে। আর এর স্প্রাইক প্রোটিন বদলেছে ৩০ বারের মতো। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এত বেশি বার স্প্রাইক প্রোটিন বদলানোর জন্যে এটি প্রবল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ।
করোনার বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো ওমিক্রন মোকাবেলায় কাজ করবে কি না- এ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামাত তুলে ধরা যাক।
ইতালির শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট রবার্তো বুরিওনি বলেন, জনসাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, এ ধরন সম্পর্কে এখনো কিছু বলা যাবে না। আরো কয়েক সপ্তাহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর বলা যাবে। যুক্তরাজ্যের একজন বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন এ ওমিক্রণের বিরুদ্ধে ভ্যাকনসন খুব কমই কাজ করবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট জেমস নেইস্মিথ বলেন, এ ভ্যারিয়েন্টের যদি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা থাকতো, তবে এতদিনে যুক্তরাজ্যে নিশ্চিতভাবে প্রবেশ করতো। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ বিভাগের প্রধান এন্থনি ফাউচি বলেন, এ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও তীব্র অসুস্থতা ঠেকাতে পারে ভ্যাকসিন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন