এপ্রিল থেকেই নির্ধারিত দামে এলপিজি কেনার কথা বলা হলেও প্রতিমাসেই আবার তা বদলে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সমন্বয় করার কারণেই এমনটা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসি সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষেই দাম ঘোষণা করা হবে। যাতে ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর করা যায়। দাম নির্ধারণের ফর্মূলা প্রায় চূড়ান্ত। উচ্চপর্যায়ের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি। অনুমোদন পেলেই ঘোষণা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের জন্য বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলোর দাম নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। বিইআরসির আইন অনুযায়ী শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দেওয়ার নিয়ম। সেই হিসেবে ১৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে সময়। কিন্তু বিইআরসি তার আগেই এই ঘোষণা দিতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
বিইআরসি জানায়, সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। এবারও তাই হবে। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করবে বিইআরসি। এখন দেশে সৌদি আরবের এলপিজি বাজারদরের সঙ্গে এলসি মার্জিন, আমদানিতে জাহাজ ভাড়া, দেশের অভ্যন্তরে কয়েক ধাপের পরিবহন ব্যয়, ডিলারের লভ্যাংশ, উদ্যোক্তার মুনাফা ধরে দাম ধরা হয়। কমিশনের নতুন ফরমুলাতে সৌদি সিপি এবং ভ্যাট ছাড়া প্রতিমাসের দাম নির্ধারণে সব নির্দিষ্ট রাখা হবে।
এর আগে অবশ্য গণশুনানিতে সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা করে একটি অভিন্ন দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছিল কমিশনের গঠিত মূল্যায়ন কমিটি। এ হিসাবে সরকারি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম পড়তো ৯০২ টাকা, এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পড়তো ৮৬৬ টাকা। উলে¬খ্য, কমিশনের কাছে সরকারি কোম্পানি ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। তবে মূল্যায়ন কমিটি তাদের সিলিন্ডারের দাম আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৯০২ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ১ হাজার ২৬৯ থেকে কমিয়ে ৮৬৬ টাকা করার সুপারিশ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য মকবুল ইলাহী জানান, এলপি গ্যাসের দাম এখন যেভাবে ওঠানামা করে সেটার অজুহাতে বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলো সবসময়ই আন্তর্জাতিক বাজারের দামকে দায়ী করে। কিন্তু সবসময় তা হয় না। তাই কমিশন সব খুঁটিয়ে দেখছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট ফরমুলা করতে যাচ্ছি। যাতে কারও সমস্যা না হয়। আবার গ্রাহকের দিকটিও বিবেচনায় রাখছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন