ভালোবাসা কখনো কোনো বাধা-বিপত্তি মানে না। মানে না ধনী গরিব কিংবা ধর্ম বর্ণের বিদ্বেষ। যুগ যুগ ধরে এমনটাই হচ্ছে ভালোবাসার ক্ষেত্রে। তাই তো যুক্তরাজ্যের এক মহিলা জেলার মন দিয়েছিলেন। কিন্তু কাকে মন দিয়েছিলেন, ভালোবেসেছিলেন? জেলের এক কয়েদি মানে এক আসামিকে ভালোবেসেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাদের সেই প্রেমকাহিনী প্রকাশ্যে এসেছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২২ বছর বয়সী ওই মহিলা জেলারের নাম স্কারলেট অ্যালড্রিক আর আসামির নাম জোনস। আদালত থেকে আসামি জোনসের সম্পর্কে বেশি কিছু জানাতে চায়নি। তবে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে কিভাবে তাদের প্রেমের শুরু, প্রেমের নৌকায় কিভাবে পা রাখলেন জেলার ইত্যাদিসব।
২০১৯ সালে সাটনের জেলে আনা হয় জোনসকে। জেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত অন্যান্য কর্মীরা লক্ষ্য করেন স্কারলেট একটু বেশিই কথা বলছেন জোনসের সঙ্গে। জোনসের সঙ্গে দিনে টানা ২ ঘণ্টাও কথা বলেছে স্কারলেট এমনটাও জানা গেছে। স্কারলেটকে তাৎক্ষণিক সতর্ক করা হলেও থেমে থাকেননি তিনি। তাই তো পরবর্তীসময়ে ভুল পদক্ষেপ নেন স্কারলেট। সকলের সামনে কথা বলতে না পারায় জোনসকে একটি মোবাইল দেন। আসামি প্রেমিক তা লুকিয়েও রেখেছিল কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন ধরা পড়েন।
জোনস ধরা পড়লেও তার ফোনে প্রমাণ ছিলো না যে, সে কার সঙ্গে কথা বলে, কাকে ম্যাসেজ করে। কেবলমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একটি ছবি দেখে অবাক হয়েছিল। মোবাইলে থাকা এক তরুণীর উরুর ছবি রয়েছে আর সেখানে জোনসের জেল নম্বরই ট্যাটু করা। পরে শারীরিক মেডিকেল পরীক্ষার সময় স্কারলেটের উরুতেও একই রকম ট্যাটু করা জেল নম্বর দেখে সন্দেহ হয় নার্সের। পরে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদে সব খুলে বলতে বাধ্য হয় প্রেমিকা স্কারলেট অ্যালড্রিক। এই মামলায় কোর্টের বিচারক জন থ্যাকরে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেন স্কারলেট অ্যালড্রিকের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন