শরীয়তপুরের নড়িয়ার মগর গ্রামে ‘শ্বশুরালয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে তার চাচাতো এক দেবর’ এমন অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।তার অভিযোগ, পুলিশে না দিয়ে সালিশি সিদ্ধান্তে টানা ১০ ঘণ্টা বাথরুমে অবরুদ্ধ রাখা হয় ধর্ষকসহ গৃহবধূকে। দফায় দফায় সালিশি মীমাংসার নামে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করে সমাজপতিরা। এ ঘটনায় সংসার ভেঙে যেতে বসেছে গৃহবধূর। এরপর সাতদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় হয়নি মামলা। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী আরো জানায়, ‘গত বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমে আলো দেখে স্ত্রীকে খুঁজতে সেখানে যান। তিনি বাথরুমের দেখেন স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তার বংশীয় চাচাতো ভাই জিহাদ। তখন দরজার বাইরের সিটকিনি লাগিয়ে চিৎকার করলে বাড়ির মানুষ ও এলাকাবাসী ছুটে আসে। ডেকে আনা হয় মেয়ের পরিবারকে। পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনে টানা ১০ ঘণ্টা ধর্ষকসহ গৃহবধূকে বাথরুমেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। পরে ধর্ষককে আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত দিয়ে গৃহবধূকে জিহাদের সাথে বিয়ে পড়ানোর জন্য মেয়ের পরিবারের হাতে তুলে দেয় মগর গ্রামের সালিশ বিচারকরা। মেয়ের পরিবার ও জিহাদের পরিবারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া হয় স্বাক্ষর।
তবে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, রাতে প্রয়োজন হওয়ায় বাথরুমে গিয়েছি। দেবর জিহাদ বাথরুমে ঢুকে বলে ‘চিৎকার করলে ফাঁসিয়ে দেবো, তাই আমি চিৎকার করিনি। পরে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে জিহাদসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়ে আমি নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি বৃহস্পতিবার।’
এদিকে, ওই গৃহবধূ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনার ৭দিন পেরিয়ে গেলেও নড়িয়া থানায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন