আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর কান্দাহার দখলে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বর্তমানে যুদ্ধ চলছে তালেবানদের।
দখলের বিষয়ে তালেবান নেতৃত্ব এমনও দাবি করেছে যে "আফগানিস্তানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন হয় তাদের দখলে, কিংবা খুব শিগগিরি তাদের দখলে চলে আসছে।" এরইমাঝে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।
কান্দাহারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে খবর আসছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শত শত তালেবান যোদ্ধা কান্দাহারের সীমানায় জড়ো হতে শুরু করেছে। এমন কী, শহরের ভেতর থেকেও বহু সশস্ত্র মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন এবং কোনও কোনও এলাকায় তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝেই গত ১৬ জুনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দৌলত আবাদ শহরে আফগান নিরাপত্তা কমান্ডোদের নৃশংসভাবে হত্যা করছে তালেবান সদস্যরা। আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া সেনা সদস্যদের প্রতিরোধের কোন সুযোগই দেয়া হয়নি।
দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বর্তমানে তালেবানের দখলে। এতে নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে তুর্কমিনিস্তান-তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও। এছাড়া, চীন এবং কাজাখিস্তান সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলোও দখলে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
দীর্ঘ দু'দশক ধরে আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকার পর মার্কিন সেনা খুব সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় নিতে শুরু করেছে - আর তারপরই সে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এরমাঝেই শান্তি আলোচনায় বসার ঘোষণা দিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
এদিকে ভারত কান্দাহারে থাকা তাদের দূতাবাস থেকে প্রায় পঞ্চাশজন কূটনীতিক ও কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে আনে। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সেখানকার পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে আমরা প্রতিনিয়ত নজর রাখছি। তবে আমাদের কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
ধারণা করা যায় আফগানিস্তান খুব দ্রুতই তালেবান এর দখলে চলে যাবে। আর এতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে আফগানিস্তানসহ আশেপাশের রাষ্ট্রসমূহও। তবে তালেবানদের ঠেকাতে মাঠে নেমে আসার ঘোষণা দিয়েছে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আফগানি আমজনতারাও।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন