বাংলাদেশ নৌবাহিনী বেশ কয়েকবছর ধরে এই সফিস্টিকেটেড সিস্টেম নিজেরাই তৈরী করে আসছে। নৌবাহিনীর তৈরীকৃত IFF সিস্টেম যুগোপযোগী হওয়ায় বাকি ২ বাহিনীও আমাদের নৌবাহিনীর তৈরী এই সিস্টেম ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় ধাপে নৌবাহিনীর তৈরীকৃত IFF সিস্টেম কেনা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী মুলত চীনের কাছ থেকে TOT নিয়ে এই সিস্টেম নিজেদের মত করে ডেভলপ করেছে। চীনের কাছ থেকে এই প্রযুক্তি পেতে G2G ভিত্তিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ইতোপূর্বে।
জানা দরকার IFF এর কাজ। IFF হল রাডার বেসড আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম যেটি Command & Control কে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। এই সিস্টেমের মুল কাজ হল যুদ্ধকালীন সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে শত্রু ও মিত্র জাহাজ,এয়ারক্রাফট, বা অন্যান্য ইউনিট চিহ্নিতকরন। যুদ্ধকালীন সময়ে একই স্হানে শত্রুপক্ষ এবং নিজেদের বিভিন্ন জাহাজ,সাবমেরিন এয়ারক্রাফট, ইউনিট একসাথে থাকতে পারে। এ অবস্হায় কোনটি শত্রু পক্ষ আর কোনটি নিজেদের তা নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা না হলে ফ্রেন্ডলি ফায়ারের মত মারান্তক ঘটনাও হতে পারে (ভারতের অভিনন্দন কান্ডের সময় ভারতীয় বাহিনী নিজেদের একটি চপার শুটডাউন করে শত্রুমিত্র চিহ্নিত করতে না পেরে)। এই কাজটিই সহজ করে দেয় IFF সিস্টেম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন