আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বার বার আটকে যাওয়া সিলেট-ঢাকা চার লেন প্রকল্প অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের অব্যহত প্রচেষ্টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা নিয়ে বিদ্যমান জটিলতার অবসান হয়েছে।
সিলেট-ঢাকা চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পটি একটি মহলের অসহযোগিতার কারণে মুখথুবড়ে পড়ে ছিলো প্রকল্পটি।
চীনের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে এ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার জন্য ২০১৭ সালের অক্টোবরে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। কথা ছিল ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
হঠাৎ করে মহাসড়ক সচিব নজরুল ইসলাম খান জানালেন তাকে নাকি ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী। তাদের একজন প্রতিনিধি দেখা করতে আসেন সচিব নজরুল ইসলাম খানের সাথে ।
আসার সময় তিনি সৌজন্যতার জন্য চায়নিজ চায়ের একটি প্যাকেট নিয়ে আসেন। সচিব জানান এই প্যাকেটের মধ্যে নাকি বিদেশি মুদ্রায় ৫০ লাখ টাকা ঘুষ ছিলো। পরে সেই অর্থ ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চীনা দূতাবাস পরে এ ধরণের কোন টাকা পাবার কথা অস্বীকার করে। চায়ের প্যাকেটের কীভাবে ৫০ লাখ টাকার জায়গা হলো এ নিয়েও পরে অনেক প্রশ্ন উঠে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে – ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইতিমধ্যে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য সাতটি জোনের মধ্যে পাঁচটির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি সাতটি জেলার ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হবে। এ কারণে প্রতিটি জেলাকে একটি জোন ধরে সাতটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। তৈরি হওয়া পাঁচটি প্রস্তাব একনেকের অনুমোদনের জন্য শিগগিরই পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে খুব দ্রুত জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করবে সড়ক বিভাগ। জমি অধিগ্রহণের পুরোটাই সরকার অর্থায়ন করবে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারি মাসে। সে লক্ষ্যে এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর মধ্যে আলোচনা শুরু হয় বছরের শুরুতে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাব্বির হাসান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি ও নকশা আপডেটের কাজ শেষ করে এডিবির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা খসড়া ডিপিপি দেখছে। তাদের চূড়ান্ত মতামত পাওয়ার পরই ডিপিপি অনুমোদনের জন্য একনেকে পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই এই ডিপিপি একনেকে উত্থাপন করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন