শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ নাঈম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানায় ওই নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার নারী বিধবা এবং এক সন্তানের জননী। 

গ্রেফতার নাঈম উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষককে আদালতে সোর্পদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান। অন্যদিকে দুপুরে এ খবর লেখার সময় কোর্ট পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শহীদ বলেন, আসামি নাঈমকে নিয়ে পুলিশ সদস্যরা এখন পর্যন্ত আদালতে পৌঁছায়নি।

তিনি জানান, বর্তমান নিয়মানুযায়ী কোর্ট আওয়ারের পরে ওই আসামিকে আনা হলে তাকে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল রাত ১১টার সময় নাঈম নওকুচি গ্রামের বিধবা ওই নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করা হলে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে নাঈম।

একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ধর্ষক। এর ধারাবাহিকতায় ১৯ এপ্রিল সোমবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ধর্ষণের ঘটনাটি আপোস-মিমাংসার প্রস্তুতি নেয়া হয়। এ সময় পুলিশ সেখানে হানা দেয়। এদিন ঝিনাইগাতী থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই সাজেদুল ইসলাম, কলিম উদ্দিনসহ সঙ্গীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ধর্ষক নাঈমকে গ্রেফতার করে।