বরগুনায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়িয়ে মেঝেতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ফলে ব্যাহত হচ্ছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম।
১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৪৯৩ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন।
জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯৩ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যু ঘটেনি।
ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পরেছি। চারদিক থেকে আসে দুর্গন্ধ। এছাড়া পরিবেশও নোংরা।
তিনি আরও বলেন, দুইটি মাত্র শৌচাগার রয়েছে। তার অবস্থাও করুণ। এখান থেকে কিছুই পাই না। বাইর থেকে স্যালাইন এনে দিতে হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালা বলেন, ‘প্রতিদিন মাত্র দুইজন করে নার্স রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আইভি স্যালাইনের সঙ্গে খাবার স্যালাইনও শেষ। কীভাবে সামলাবো বুঝতে পারছি না’।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দীন বলেন, এমন ডায়রিয়ার রোগীর চাপ আগে দেখিনি। হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। স্থান সংকুলানও হচ্ছে না। জনবল সংকটের মধ্যে একদিকে করোনায় আক্রান্তদের অন্যদিকে সাধারণ রোগীদেরও সেবা দিতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বিডিটাইপকে বলেন, দূষিত পানি, খোলা খাবার আর গরমের কারণেই হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন