লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনার নদীর জোয়ারের পানি উপকূলে ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ রবিবার বিকেলে জোয়ারের পানিতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের কালভার্ট এলাকায় তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মতিরহাট মাছঘাট ও পর্যটন কেন্দ্রসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এদিকে বিকেল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জোয়ারে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ছিল।
কমলনগরের কালকিনি, মার্টিন, নাসিরগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকা প্রায় ২ ঘণ্টা হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে ছিল। অবশেষে ৬ টার দিকে উপকূল থেকে পানি নামতে থাকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মেঘনার জোয়ারের তীব্র স্রোতে চরমার্টিন, চরলরেন্স, চরকালকিনিসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়ক ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি সড়কে প্রায় ৪ মাস ধরে গাড়ি চালাতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চালকরা।
তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে চলাচলে প্রায় ৩ বছর ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত ২০ দিন আগে জোয়ারে একই সড়কের কালভার্ট এলাকা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে সড়কটিতে ইট ফেলে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়। আজ আবারও জোয়ারে কালভার্ট এলাকায় সড়কের দুই স্থান ভেঙে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতিরহাট মাছঘাট ইলিশ কেনাবেচার অন্যতম স্থান। এই ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইলিশ পাঠানো হয়। মতিরহাট বেড়িবাঁধ ও মেঘনার জেগে ওঠা চর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এ সড়কের চলাচলকারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, 'সম্প্রতি জোয়ারের পানিতে কালভার্ট এলাকার সড়ক ভেঙে চলাচলের বিঘ্ন ঘটে।
পরে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। জোয়ার এলেই কালভার্ট এলাকার সড়কটি ভেঙে যায়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন। দ্রুত গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ' কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'ঘটনাটি আমার জানা নেই।
খোঁজ নিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করতে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কটি নতুন করে সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা। আশা করি, সড়কটি নতুন করে সংস্কার হলে জনগণকে চলাচলে আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন