মাদক ব্যবসায়ী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। যদিও বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভিতরের একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে যমুনা টেলিভিশনের কাছে। যাতে ফুটে উঠেছে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র।
ভিডিওতে দেখা যায় হাতে হাতকড়া, যুবকের চিৎকার-আর্তনাদ। তবুও রেহাই নেই। নিজ কক্ষে এক যুবককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আবদুল মালেক। এক পর্যায়ে যুবকের মাথা পা দিয়ে চেপে পেটানো হয় কয়েক দফা। একটা সময় খুলে দেয়া হয় হাতকড়া। যুবকের হাতে ইয়াবা দিয়ে নেয়া হয় স্বীকারোক্তি। এ সময় শোনা যায় পরিদর্শক আবদুল মালেকের দাম্ভিকতা। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক পানি পান করতে চাইলেও দেয়া হয়নি।
কয়েক দিনের অনুসন্ধানে মিলেছে নির্যাতনের শিকার যুবকের পরিচয়। মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে, নগরীর কাউনিয়া বেগের বাড়ির এলাকার বাসিন্দা মারুফ সিকদারকে গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে ধরে নিয়ে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওই পরিদর্শক। নির্যাতনের পর দেয়া হয় মামলা। এ ঘটনায় ১৯ দিন জেলও খেটেছে মারুফ। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন মারুফের পরিবারের কেউ। মোবাইল ফোনে তার বাবা জানিয়েছেন শঙ্কার কথা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আবদুল মালেকও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। উল্টো টাকার বিনিময়ে বিষয়টি দফারফার চেষ্টা করতে দেখা যায় ভিডিও ফুটেজে। আর বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকও।
সুত্রঃ যমুনা টেলিভিশন
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন