নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হাঁপানিয়া বেলডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রীকে অসামাজিক কাজে নামিয়ে টাকা আয় করার জন্য বললে স্ত্রী তার স্বামীর কথায় রাজি না হওয়ায় মধ্যযুগীয় ভাবে তার স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ঝালের গুড়ো ও মাথার চুল কেটে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিত মহিলার সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ বিবাদ চলে আসছিল তারই জেরে উক্ত গ্রামের জাহান আলীর ছেলে আব্দুর রফিক ওই রাতে তার স্ত্রী জেসমিনকে অসামাজিক কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে বলে। এতে তার স্ত্রী রাজি না হওয়ায় অমানুষিক নির্যাতন নেমে আসে তার উপর। প্রথমে তিনি তার স্ত্রীর মাথার চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং কেচি দিয়ে তার সমস্ত মাথার চুল কেটে ফেলে। এর পর চলে শারীরিক নির্যাতন।
এক পর্যায়ে পাষণ্ড স্বামী ও জেসমিনের শাশুড়ি রাজিয়া বিবি গৃহ বধু জেসমিনের গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়ো প্রবেশ করিয়ে দেয় এসময় সে অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকলে রফিক তার মুখে কাপড় গুজে দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। সমস্ত রাত এবং পরের দিন তাকে বাড়ী হতে বের হতে না দিয়ে বাসায় গৃহ বন্দী করে রাখে। সোমবার সকালে সুযোগ বুঝে জেসমিন বাড়ী হতে বেরিয়ে এলে চতুর স্বামী ও তার মা রাজিয়া বিবি বাড়ী হতে পালিয়ে আত্মগোপন করে। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে নর পিচাশ রফিক ও তার মাকে না পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে রফিকের স্ত্রী জেসমিন আরা সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন নির্যাতিত মহিলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বর্তমানে তার কোন অভিভাবক না থাকায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি তবে আগামীকাল বুধবার তার বাবা চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ হতে সাপাহারে এলে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন