চীনের অনিয়ন্ত্রিত রকেটটি যে কোনো সময় পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে আছড়ে পড়তে পারে। চীনের তৈরি বৃহত্তম রকেট উৎক্ষেপণের পর অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ২৮ এপ্রিল সেটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ২৯ এপ্রিল সেটি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।
রকেটটির মূল অভ্যন্তরীণ অংশ (‘কোর’) ৩০ মিটার (১০০ ফুট) লম্বা । মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ‘স্পেসনিউজ’ এই খবর দিয়েছে। চীনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ওই রকেটটির (মডিউল) নাম ‘লং মার্চ ৫বি রকেট’। রকটটি তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের অধীনে বানানো হয়েছিল। সেটি উৎক্ষেপণের জন্য গত মাসে প্রস্তুত করা হয়েছিল।
রকেটটি সফলভাবে মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। পরে গ্রাউন্ড স্টেশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এখন সেটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে আছড়ে পড়তে পারে। রাডারে তা ধরাও পড়েছে। মডিউলটি এখন ভূপৃষ্ঠের ১০৬ মাইল থেকে ২৩১ মাইল উচ্চতার মধ্যে উঠানামা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইক হাওয়ার্ড সিএনএনকে বলেছেন, ধারাণা করা হচ্ছে চীনের লং মার্চ ৫বি রকেটটি ৮ মে পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। তবে মার্কিন স্পেস কমান্ড রকেটটির ট্র্যাক করছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত এটা বলা সম্ভব হবে না যে ঠিক কোন অংশ দিয়ে এট পৃথিবীতে প্রবেশ করবে। তবে এর ট্র্যাকিংয়ের আপডেট ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অ্যারোস্পেস ডট অর্গ রকেটটি ট্র্যাক করেছে।এটি ৮ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। তবে এর সময় পরিবর্তনও হতে পারে।
এদিকে এটা পৃথিবীর কোথায় আছড়ে পড়বে তা জানা না গেলেও এই অংশটি কোনও মহাসাগর বা নির্জন এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সেন্টারের একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জনাথন ম্যাকডোয়েল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন