নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক তরুণীর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করায় সাবেক প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২ মে) ভোররাতে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে মুন্না (২৫), একই গ্রামের পাঠানপাড়ার শওকত আলীর ছেলে আলাল (২৫) ও আমজাদের মোড়ের শহিদুল ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম তুহিন (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সৈয়দপুরের বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার সেই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুন্নার। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পাশের পাঠানপাড়ার আলালের বাড়িতে প্রেমিকাকে ডেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মুন্না। এ সময় কৌশলে ওই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন তিনি।
২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি একই গ্রামের আশিকুর রহমানের সঙ্গে সেই তরুণীর বিয়ে হয়। তাদের সুখের সংসার চলছিল। এ অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রাতে মুন্নার বন্ধু তুহিন ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করে জানান, মুন্নার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে।
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১৪ এপ্রিল ওই তরুণী শহরের প্লাজা মার্কেটে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তুহিনের সঙ্গে দেখা করেন। তুহিন একটি ফেসবুক আইডি থেকে দুই মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটি দেখান তাকে। সেটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করলে তুহিন দুই লাখ টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন সেই তরুণীকে। এতে অসম্মতি জানিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান ওই ছাত্রী।
শনিবার (১ মে) তুহিন মোবাইল ফোনে আবারও ওই ছাত্রীকে টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। পরে ওই তরুণী বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিকসহ তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে তৌফিক ইসলাম তুহিন, আমজাদের মোড় থেকে আলাল এবং নিজ বাড়ি থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান জানান, ভিকটিমকে রোববার সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন