গতকাল আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতিও ১৯ টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। একটু এদিক সেদিক হলেই হলুদ কার্ড দিতে তিনি দ্বিধা বোধ করেননি। তার এমন আগ্রাসী সুলভ রেফারিং-এ বাদ যাননি চির কোমল স্বভাবের লিওনেল মেসিও। কাকে কার্ড দিতে বাদ রেখেছেন মাতিও! মাঠের খেলোয়াড়ের বাইরে কোচ, সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়, এমন কি পেনাল্টি করতে আসা ফুটবলারকেও হলুদ কার্ড দিতে বাকি রাখেননি তিনি। এ নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা।
তবে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মনে এখন শঙ্কা হলো পরপর দুই ম্যাচ হলুদ কার্ড পেয়ে সেমি-ফাইনালে কোন কোন প্লেয়ার খোলতে পারবে না। কিংবা যারা গতকালকের ম্যাচে হলুদ কার্ড পেয়েছেন, তারা যদি সেমিফাইনালে আরেকটি হলুদ কার্ড পান, তাহলে কি ফাইনালে খেলতে পারবেন? এ দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি।
তিনি বলেছেন, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় গঞ্জালো মন্টিল এবং মার্কোস একুইনা গতকালকের ম্যাচ এবং এর আগের ম্যাচে হলুদ কার্ড পেয়েছেন। তাই তারা পরবর্তী সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন না। ব্যাক টু ব্যাক হলুদ কার্ড পাওয়ার শাস্তির এই বিধান কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত কাউন্ট হয়। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে নয়। তাই মেসি এবং অন্যান্য প্লেয়ার, যারা গতকালকের ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ড পেয়েছেন, তারা সেমিফাইনালে আরেকটি হলুদ কার্ড পেলেও ফাইনাল খেলতে পারবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন