একটি বিমান- যাতে চড়ে আপনি মহাশূন্য ভ্রমণে যেতে পারবেন, মাটি থেকে ৮০ বা ১০০ মাইল ওপরে কয়েক ঘণ্টার জন্য। উড়ে বেড়ানোর পর আবার সেই বিমান- ঠিক একটি সাধারণ উড়োজাহাজের মতই- আবার পৃথিবীর বুকে কোনও একটি বিমানবন্দরে এসে নামবে।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
হ্যাঁ!! সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব
হবার পথে। কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন তার রকেট-বিমানে
করে প্রথমবারের মত মহাশূন্যের প্রান্তে ঘুরে এসেছেন।
সাধারণ বিমান যাত্রার মতই আপনি এই বিশেষ রকেট-বিমানের টিকিট কিনে মহাকাশ ভ্রমণের
অভিজ্ঞতা পেতে পারবেন। এই ভ্রমণ হবে সাব-অরবিটাল, অর্থাৎ বিমানটি মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার- উচ্চতায়
উঠবে- যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল শেষ হয়ে মহাকাশ শুরু হচ্ছে ।
সেখানে বিমানটি আরোহীরা
কয়েক মিনিটের ওজনহীনতা অনুভব করবেন এবং এরপর তা পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা যায়,
কোনও মহাকাশযান যদি ঘণ্টায় ১৭,৫০০ মাইল বা তার বেশি গতিতে উড়তে থাকে তাহলে তা মাধ্যাকর্ষণের
টান কাটিয়ে মহাকাশেই অবস্থান করতে পারবে এবং পৃথিবীর চার দিকে একটা কক্ষপথ বা অরবিটে
ঘুরতে থাকবে।
২০২১ সালের ১১ জুলাই স্যার
রিচার্ড ব্র্যানসন স্বয়ং তার ভিএসএস ইউনিটিতে চড়ে মহাকাশ যাত্রা করলেন। এই ফ্লাইটটি
প্রায় ৮৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল।
তবে এখানে বলা দরকার, অধিকাংশ
বিজ্ঞানীর মতে মহাকাশের সূচনা হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায়- যাকে
বলে কারমান লাইন।
কারমান লাইন ছাড়িয়ে যাবে
আমাজনের মহাকাশ-পর্যটন বিমান। মহাকাশে মানুষকে বেড়াতে নিয়ে যাবার ব্যবসায় স্যার
রিচার্ড ব্র্যানসন একা নন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী হচ্ছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা
জেফ বেজোস।
তারা যে রকেট-বিমান তৈরি
করছেন- তার নাম নিউ শেপার্ড, এবং তারা বলছেন এতে করে যে যাত্রীরা মহাকাশে বেড়াতে যাবেন
তারা কারমান লাইন অতিক্রম করতে পারবেন।
এর নির্মাতা ব্লু অরিজিন
বলছে, তাদের যানটি একটি প্রকৃত রকেট- অনেক উঁচু দিয়ে উড়তে পারা ‘উড়োজাহাজ’ নয়।
এর জানালাও হবে অনেক বড়,
সাধারণ প্লেনের জানালার মত নয়। তা ছাড়া এতে কোনও জরুরি অবস্থায় আরোহীদের যান থেকে
বেরিয়ে যাবার ব্যবস্থাও থাকবে।
তারা বলছে, এ যান হবে পরিবেশ
বান্ধব এবং এতে ওজোন স্তরের কোনও ক্ষতি হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন