তরুণদের বেকারত্ব, হতাশা আর উৎকণ্ঠা থেকে বের করে আনতে হবে, যাতে তারা জীবনকে ইতিবাচক দিক থেকে দেখতে পারে এবং অর্থনীতিতে, সমাজে ও পরিবারে তাদের যথাযথ অবদান রাখতে পারে। বেকার যুবক—এই পরিচয়ে কে পরিচিত হতে চায়! অথচ বাংলাদেশের মোট ২ কোটি যুব শ্রমশক্তির মধ্যে ১৯ লাখকেই এই পরিচয়ের গ্লানি বহন করতে হচ্ছে। তরুণসমাজের যে বিশাল অংশ মাসের পর মাস (এমনকি কেউ কেউ বছরের পর বছর) ‘না লেখাপড়া, না কাজে’ দিন কাটায়, তারা যে দেশের সমাজ ও অর্থনীতি থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন বোধ করবে, এটা বুঝতে উঁচু দরের গবেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভারশোঁ সব চেয়ে বড় উৎরাইল বিলে বন্যার পানি বের হওয়ার জন্য খান খননের কাজ করে দেন। বোরো মৌসুমে (ডিপ) গভির নলকুবে পাশাপাশি এই খালের পানি দিয়ে ফসল ফলাতে পারে কৃষকগণ। সব চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে খালের উপরের অংশের দিকে বেকার যুবক ছেলেরা মাছ চাষের মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যা স্থানীয় যুবকদের সব চেয়ে বড় পাওয়া।
এই খালের পাশ দিয়ে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বাঁকাপুরের রাস্তা ভেকু (মাটি কাটা মেশিন) দিয়ে চলাচলের উপযুগি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে মাঠের ফসল গাড়িতে করে ঘরে তুলতে পারে কৃষক। খালের পাশাপাশি ভাতির মুখগুলো তে প্লাস্টিক পাইপ দেওয়া হয়েছে, যেন পানি বেশি হলে বের করে দেওয়া যায়। এই খাল খননের ফলে কৃষক সহ বিলের চারিপাশের মানুষের অনেক উপকার হয়েছে, যা অতুলনীয়।
ভারশোঁ গ্রামের (পশ্চিম পাড়া) কৃষক জব্দুল সরকার বলেন, অত্র অঞ্চলের মধ্যে সব চেয়ে বড় বিল উৎরাইল। এই বিলের আগে মানুষ মাথায় করে ধান নিয়ে আসতে হতো। খান খননের পরে রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ফলে এখন মানুষ অনায়াসে বৃষ্টি হলেও গাড়ি নিয়ে ধান তুলতে পারে। এই খাল খননের ফলে ধানে জমিতে পানির ডিপের পাশাপাশি খাল থেকেও পানি দিতে পারে এবং বৃষ্টি হয়ে জমিতে বেশি পানি হলে তা খালে বের করে দিতে পারে। জেলেদের পাশাপাশি বিলের চারি পাশের মানুষ এই খাল থেকে মাছ সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়াও বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে কৃষকের পানি খাওয়ার জন্য টিওবয়েল এবং ছায়ার জন্য বটগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও বিলের চারি পাশ থেকে বন্যার পানি যেনো প্রবেশ করতে না পারে সেই জন্য সুইজগেটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটা আমাদের সব চেয়ে বড় পাওয়া।
ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, খাল খননের ফলে বিলের চারিপাশের কৃষক সহ সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। খালের বেকার যুবক ছেলেরা মাছ চাষ করে তাদের আয়ে সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, যা দেখে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। আর একবার যদি ভারশোঁ ইউনিয়নের মানুষ আমাকে সুযোগ দেয় তাহলে এই রাস্তা গুলো ইট দিয়ে পাকা করে দিবো ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন