পিরোজপুরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

পিরোজপুরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

মুখ চেপে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে পিরোজপুরে পৌরসভার নরখালী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত তরুণীর পরিবার। মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিনগত রাতে ভুলক্রমে ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পরে মেয়েটির পরিবার। এই সুযোগে রাত ৩টার দিকে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে পাশের গ্রামের মাইনুল শেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন। এবং ওই তরুণীর মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে পূর্বপরিচিত যুবক মাইনুল শেখ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে যায়।

এরপর কান্না শুনে সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবা। পরে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনরা। ধর্ষণের শিকার মেয়ের মা জানান, পাশের গ্রামের মাইনুলের সঙ্গে আমার মেয়ের কিছুদিন হলো মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। আমার মেয়েকে অনেক জ্বালাতো।

বাসার পাশে ঘোরাফেরা করতো বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। গতকাল রাতে দরজা খোলা পেয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশটা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার ও ধর্ষণকারীকে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমার মেয়েটা এখন হাসপাতালে ভর্তি। আর সদর থানার ওসি আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান জানান, শনিবার ভোরে ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই দিনই বিকেলে মেয়ের বাবা থানায় এসে পাশের গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে মাইনুল শেখ নামের এক যুবককে প্রধান আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা করেছেন। আমরা প্রধান অভিযুক্ত মাইনুলকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password