সাবধান, প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান

সাবধান, প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান

করোনায় গ্রাহকদের সামনে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান। পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে লোভনীয় অফারের টোপ। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। বিষয়টি স্বীকার করে অনলাইনে কেনাকাটায় গ্রাহকদের আরো সর্তক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইক্যাব। প্রতিকার পেতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অনলাইনে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে পুরোদেশ। নিত্যপণ্য ও ওষুধ ছাড়া বন্ধ রয়েছে অন্যান্য দোকানপাট কিংবা বিপনীবিতান। বন্ধ গণপরিবহনও।

তবে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের কেনাকাটার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস। গ্রাহক ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি সক্রিয় অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো। মাস্ক, স্যানিটাইজার, চুল কাটার স্ট্রিমার কিংবা পোশাক-সবধরনের পণ্য কেনাকাটায় দিচ্ছে লোভনীয় অফার। ঘরে বসে প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দিচ্ছেন গ্রাহকরা। এপর্যন্ত সব ঠিকঠাকই আছে। তবে বিপত্তি শুরু হয় মূল্য পরিশোধের পর।

অনলাইনে কেনাকাটা করা ভুক্তভোগী এক কাস্টমার জানান, আমার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করেছি। এরপর ফোন দিলে তাদের হটলাইন বন্ধ পাচ্ছি। এটা শুধু আমি না অনেকের সঙ্গেই তারা এমনটা করছে। 

গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইক্যাব।

ইক্যাবের মহাসচিব আবদুল ওয়াহেব তমাল জানান, এখন এই সময়ে অনেক সুবিধাভোগী লোকজন এটার সুবিধা নিতে চাইবে। নতুন করে কোম্পানি তৈরি করতে চাইবে। এটা একটা বড় সমস্যা। সাধারণ গ্রাহককে আমরা যেটা বলার চেষ্টা করছি যে আপনারা যে সাইট থেকেই কিনবেন না কেনো একটু বুঝে কিনুন। 

অনলাইনে ভোক্তাদের অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট আছে। ফেসবুক পেজও আছে। প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যেনো সেগুলো স্কিনশটসহ পেজের মধ্যে লিখে দেয়। এ রকম দুই তিনটার বিরুদ্ধে অলরেডি ব্যবস্থা নিয়েছি।   

ইক্যাবের হিসাবে, বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাধিক ইকমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান ফেসবুকে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password