নওগাঁয় তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধান নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। টানা ১৫ দিন বৃষ্টি না হওয়া ও তীব্র রোদে জমিগুলো ফেটে চৌচির হতে বসেছে।
এদিকে গভীর নলকূপ থেকে টাকা দিয়ে ধানের জমিতে পানি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির আমন খরার কবলে পড়েছে।
মান্দার স্থানীয় কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ১৭-১৮ দিন আগের বৃষ্টির পানিতে আমনের ধান জমিতে লাগাতে পেরেছি। কিন্তু ১৫ দিন হতে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে জমি শুকিয়ে ধান মরতে বসেছে। পত্নীতলা উপজেলার কৃষক স্বপন খয়া বলেন, আমাদের দিকে কিছু এলাকায় ধান জমিতে লাগানো আছে। এখনো বেশির ভাগ জমি বৃষ্টির পানির অভাবে চাষ দিতে পারিনি। বিএমডিএর গভীর নলকূপ থেকে পানি কিনে আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কৃষকরা জানান।
কেননা, এই সময়ে জমি খরার কবলে পড়লে প্রচুর পানি লাগে। জমিতে পানি দেওয়ার জন্য সিরিয়াল নিতে হচ্ছে। সিরিয়ালের জন্য ৫-৬ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আবার কোনো সময় সকালে পানি পাব বলে গেলে দিন গড়িয়ে রাতে পানি পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন। মহাদেবপুর উপজেলার স্বরসতিপুর গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, আমাদের জমি পানির অভাবে চাষ দিতে পারিনি। বৃষ্টি ও গভীর নলকূপের পানি না থাকায় চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী সমসের আলী বলেন, এই সময়েই ফসলের জন্যে বৃষ্টির পানি বেশি দরকার হয়। অথচ এবার বৃষ্টির দেখা নেই। ধান লাগানোর জন্য আরও উপযুক্ত সময় আছে। শ্রাবণ মাসজুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমরা এটাকে খরা বলব না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন