অনলাইন ডেস্ক :কয়েকদিন আগেই জানা গেছে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমের একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই রূপরেখার খসড়ায় অনুমোদন দেন। ওই দিন দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
এবার জানা গেল শিক্ষা পদ্ধতির সাথে সাথে স্কুল কলেজের ছুটিতেও আসছে পরিবর্তন। স্কুল-কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুদিন করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চাইলে এটি যে কোনো সময় বাস্তবায়ন করতে পারে বলে জানা গেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন কারিকুলামের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের মতো করে কিছু সময় কাটাতে পারে সেজন্য এটি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুধু শিক্ষক আর শ্রেণি পাঠদানের পেছনে দৌড়ে তাদের দিন পার হয়। এতে পড়ার চাপ বেশি পড়ে তাদের ওপর। এ কারণে তাদের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুদিন করা হয়েছে। বন্ধের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবে।
ড. মশিউজ্জামান আরও বলেন, সপ্তাহে ২ দিন ছুটি হলেও জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, কার্যদিবস ধরা হবে। এ দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তারা দিনটি নিজেদের মতো করে কাটাবে। এ দিনগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতায় পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। সেই নম্বর বার্ষিক ও অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গে যোগ হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হবে না। তাদের লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে বলেও জানানো হয়।
এনসিটিবি জানায়, বিদ্যমান সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার ছুটি হলে ক্লাস হবে ১৮৫ দিন। নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন