আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে গ্রামবাংলার চিরচেনা তালপাতার পাখা

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে গ্রামবাংলার চিরচেনা তালপাতার পাখা

উঠোন জুড়ে পচা পাটের ঘ্রাণ। খোলা আকাশের নিচে তালপাতার পাখা আর হোগলা পাতার মাদুর তৈরির দৃশ্য হরহামেশাই গ্রামে-গঞ্জে দেখা যেত।

প্রচন্ড গরমে স্ত্রী তার স্বামীকে তাল পাতার পাখা দিয়ে বাতাস দেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হওয়া ছিল চিরচেনা এক দৃশ্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে সভ্যতার নতুন দিগন্তে তালপাতার পাখা আজ বিলুপ্তির পথে। তালপাতা পাখার কদর সবচেয়ে বেশি দেখা যেত বিশ শতকের আগে।

গ্রামের হাটবাজারে, নবর্বষের মেলায় প্রতিটি দোকানে তখন থরে থরে সাজানো থাকতো তালপাতার পাখা। অনেকেই তখন হাত পাখা কিনে মেলা থেকে হাটতে হাটতে বাড়ি ফিরত। তখনো এতোটা আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি গ্রামগঞ্জে। ইলেক্ট্রিসিটির আগমন হয়নি সর্বত্র। বাড়িতে মেহমান আসলে আজকের মতো সুইচ টিপে এয়ারকন্ডিশন ছেড়ে দেয়ারও সুযোগ ছিলনা। গ্রামেগঞ্জে তখন তালপাতার পাখাই ছিল শীর্ষে।

ইলেক্ট্রনিকের যুগে এসে তালপাতা পাখা বিলুপ্তির পথে হলেও তালপাতার যুগের কথা স্মরণ রাখবে আরো কয়েক প্রজন্ম। বাংলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে চিরচেনা তালপাতার পাখা। এখন ব্যবহার তুলনামূলক কম হলেও এর ঐতিহ্য হাজার বছরের। আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠতে না পারলেও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে এ পাখা। যা বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা এয়ারকন্ডিশনে যুগের আগেকার অনেকের ভালোবাসা ও আস্থার নাম।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password