রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-ইইউবিতে সাস্টেইনেবল বিল্ডিং মেটেরিইয়ালস এন্ড সলুশন্স বিষয়ক একদিনের কর্মশালা এবং কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
কর্মশালার সহযোগিতায় ছিলেন লাফার্জ হলসিম কোম্পানি। সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো ইইউবির ভাইস চেয়ারম্যান মকবুল আহমেদ খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাফার্জ হলসিমের টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ফখরুদ্দিন খান।
সিভিল বিভাগের শিক্ষক কামাল হাসান এবং অদিতি জাহান তন্বীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রেজিস্ট্রার ইউনুসুর রহমান, প্রক্টর ড. কাজী বজলুর রহমান, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক এমদাদুল হক, সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ হযরত আলী এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবু তাহের। রেজিস্ট্রার ইউনুসুর রহমান বলেন, এই কর্মশালায় দু’পক্ষই লাভবান হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভ করেছেন। অন্যদিকে, কোম্পানি একঝাঁক শিক্ষিত তরুণদের দিয়ে তাদের কোম্পানির বিশাল মার্কেটিং করার সুযোগ পেয়েছে। লাফার্জ হলসিমের টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ফখরুদ্দিন খান বলেন, হলসিম বিশ্বে সাস্টেইনেবল বিল্ডিং নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। কার্বনের ব্যবহার হ্রাস এবং গ্রীন প্রোডাক্ট উৎপাদনে ৩০০ বিজ্ঞানী গবেষণায় নিয়োজিত আছেন এবং ১৫০০টি পেটেন্ট আছে। এছাড়াও, হলসিমের সাস্টেইনেবল বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
উক্ত সেমিনারের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহকারী অধ্যাপক অজয় কুমার। তিনি মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির সম্পৃক্ততা যত বেশি বাড়বে এবং শক্তিশালী হবে, একটি দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে অনেক বেশি সফলতা ও সামর্থ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টায় এই কোম্পানির সাথে তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট বৃদ্ধির প্রথম ধাপ হিসাবে টেকনিক্যাল সেমিনারটির আয়োজন করেন।
অজয় কুমার মনে করেন, এই সেমিনারের মধ্য দিয়ে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে তা নয়,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রি এটাচমেন্টের মধ্য দিয়ে তাদের অর্জিত জ্ঞানগুলোকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার প্র্যাকটিক্যাল ভিউ গুলো শিখতে পারবে। সাথে বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোন কোন সেক্টরগুলোতে নতুন নতুন গবেষণা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারবে তা তারা বুঝতে সক্ষম হবে। আরেক উদ্যোক্তা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন মনে করেন, এই সেমিনারের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা বুঝতে সক্ষম হয়েছে আমরা যে শিক্ষা ক্লাস রুমে দিচ্ছি তার সাথে তাদের ক্যারিয়ার কতটা সম্পর্কিত।
তাদের প্ল্যান্টগুলো ভিজিটের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা ভবিষ্যতে নিজেদেরকে জব ক্ষেত্রে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, কেমিস্ট্রি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ফয়সাল, সহকারী অধ্যাপক অজয় কুমার, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অনিতা বিশ্বাস, শিক্ষক সুপ্তা ঘোষসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন