যুগের পরে যুগ ধরে চলমান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। একারনে সম্প্রতি বিষয়টির নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের যৌথ আলোচনায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।
শিশু ও নারীসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে পত্র দিয়েছেন মর্মে সাধারণ পরিষদকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত পত্র উদ্বৃত্ত করে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান এবং ধারাবাহিকভাবে এই অবিবেচনাপ্রসূত সহিংসতার প্রতি ধিক্কার জানান।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং ফিলিস্তিনি সমস্যার ব্যাপকভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কিছু অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদকে তাদের চার্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করা।
'কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার সংস্কৃতি’ থেকে বেরিয়ে আসা।
এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ সংশ্লিষ্ট সব রেজুলেশন ইসরায়েলকে পরিপালন করাতে বাধ্য করা।
এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সব পক্ষের সঙ্গে জাতিসংঘকে আরও নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
জরুরিভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক প্রয়োজনগুলো মেটানোর ব্যাপারে জোর দিয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় সৃষ্ট জাতিসংঘের রিলিফ ফান্ডের (আনরুয়া) সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।
একশরও বেশি জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র গুলি দিনব্যাপী চলা এই আলোচনায় অংশ নেন । সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছাড়াও উক্ত সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন