নওগাঁর মান্দা উপজেলার বৈলশিং গাইনপাড়া গ্রামে আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারী) ভোরে দ্বিতীয় স্বামীসহ ওই তরুণীকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাজুড়ে হইচই পড়ে যায়। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বীথি আক্তার কবিতা নামে এক তরুণী।
সম্প্রতি প্রথম স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসেন দ্বিতীয় স্বামীর কাছে। নিরুদ্দেশ স্ত্রীকে খুঁজতে গিয়ে প্রকাশ হয়ে পড়ে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের কাহিনী। ওই তরুণীর বাড়ি ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সিমরাল জওদিনিপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম খোকন। প্রায় দেড় বছর আগে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পলাশীবাজার এলাকার লাভলু মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। লাভলু মিয়া রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি আসবাবপত্র দোকানের বিক্রয় কর্মী। বাড্ডা লিংক রোড়ের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তাঁরা।
কবিতার প্রথম স্বামী লাভলু মিয়া জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই স্ত্রী কবিতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শ্বশুর বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে বাড্ডা থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। তিনি বলেন, বাড্ডা এলাকায় নির্মাণকৃত একটি ভবনে শ্রমিকের কাজ করতেন আরিফুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবক। দীর্ঘদিন এক জায়গায় কাজ করার সুবাদে রুবেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। এক পর্যায়ে তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন রুবেল।
লাভলু মিয়া আরও বলেন, সন্দেহের সূত্র ধরে রুবেলের ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে ৯৯৯ এ কল দিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন। পরে মান্দা থানা পুলিশের সহায়তায় স্ত্রী কবিতাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় রুবেলকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। কবিতার দ্বিতীয় স্বামীর দাবিদার আরিফুল ইসলাম রুবেল বলেন, ওই বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে কবিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীকে বিয়ে করে তাঁকে ঘরে তুলে নেন। অন্যদিকে রুবেলকে দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা বলতেই স্বীকার করেন ওই তরুণী। তিনি বলেন, দুই যুবককেই বিয়ে করেছি। আইনে এর বৈধতা রয়েছে কিনা বলতে পারব না।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বৈলশিং গ্রাম থেকে ওই তরুণী উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই তরুণী দ্বিতীয় স্বামী দাবিদার রুবেলকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন