ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গত ২ জুলাই থেকে জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে পশু বিক্রি শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিলো।
সেই লক্ষ্যে ৪ জুলাই ডিজিটাল হাট নামে একটি প্ল্যাটফর্মও উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল হাট এরইমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিনাত সুলতানা বলেন, গত সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, ২ জুলাই থেকে গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৬টি পশু বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, কোরবানির পশুর মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ পশু অনলাইনে বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
২০২০ সালে মোট কোরবানির পশুর ১ শতাংশও অনলাইনে বিক্রি হয়নি। তবে এ বছর এরইমধ্যে প্রায় ২ শতাংশ পশু অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
জিনাত সুলতানা আরো জানান, এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৯টি পশুর ছবি আপলোড করা হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি বিক্রি হয়েছে। যেখানে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখের মতো পশু কোরবানি করা হয়।
পশু খামার মালিকদের প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি শাহ ইমরান বলেন, "কোরবানির পশু আয়োজন করে হাটে গিয়ে কেনার সংস্কৃতি বাংলাদেশে রয়েছে। তবে কোভিডের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই চর্চা থেকে বাইরে এসে মানুষ অনলাইন থেকে গরু কিনছে।"
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল হাট-এর স্লোগান হচ্ছে, 'এক ক্লিকে হাট থেকে হাতে'।
গতবারের তুলনায় এ বছর অন্তত পাঁচ গুন বেশি পশু এরইমধ্যে বিক্রি হয়েছে।
ডিজিটাল হাটে যেসব অনলাইন শপ রয়েছে সেগুলো থেকে পশু পছন্দ করে অনলাইনে পেমেন্ট দিয়ে কুরবানির পশু ক্রয় করা হয়। গরুর পাশাপাশি ছাগল, ভেড়া, উট, দুম্বা, মহিষ-সবই রয়েছে এই ডিজিটাল হাটে।
এদিকে ডিজিটাল হাট থেকে গরু কেনার পর সেটি ক্রেতার বাড়িতেও পৌঁছে দেবেন বিক্রেতা। অনলাইনে ঈদের আগের দিন পর্যন্তও গরু বেচা-কেনা হবে।
বাংলাদেশের কোন প্রান্তে কোন হাট কখন বসে সেই তথ্যও পাওয়া যাবে এই হাটে। এছাড়া পাওয়া যাবে জেলা ভিত্তিক আলাদা হাটের লিংকও।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন