বিশ্ব সেরা ১০০টি কারখানার মধ্যে ৩৯টি বাংলাদেশে অবস্থিত

বিশ্ব সেরা ১০০টি কারখানার মধ্যে ৩৯টি বাংলাদেশে অবস্থিত

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর তথ্য মতে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার মধ্যে ৩৯টি বাংলাদেশে অবস্থিত। বিজিএমইএ আরও উল্লেখ করে বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে আরো ৫০০টি কারখানা স্বীকৃতির অপেক্ষমান তালিকায় আছে।

আজ শনিবার বিজিএমইএর এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান।

এ সময় ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) দেয়া সনদের বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, দেশের ১৪৩টি কারখানা পরিবেশবান্ধব বলে স্বীকৃতি দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ৪১টি ‘লিড প্লাটিনাম’, ৮৯টি ‘লিড গোল্ড’ ও ১১টি ‘লিড সিলভার’ সনদ পেয়েছে। বাকি দুটি কারখানাকেমপরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পর পোশাক শিল্পকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রে তিনটি প্রয়াসে এটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বে রোল মডেলের অবস্থান তৈরি করেছে”।

“সেগুলো হলো- বিগত এক দশকে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তার জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ এবং সরকার, ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা”।

তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন হয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “গর্ব করার মতো কিছু অর্জন রয়েছে আমাদের। এ ক্ষেত্রে করোনাকালে এথিকাল সোর্সিং-এ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশের উঠে আসা উল্লেখযোগ্য”।

এমনটি বলা হয়েছে হংকংয়ের অডিট প্রতিষ্ঠান ‘কিউআইএমএ’র এক প্রতিবেদনে। এটি তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের গুণগত মান, কমপ্লায়েন্স, কর্মঘণ্টা ও শ্রম মানের মূল্যায়নে।

ক্রমবর্ধমান এ শিল্পে, লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর চেষ্টা চলছে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, “কমপ্লায়েন্স ও কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এসব অর্জনের ফলে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে”।


গার্মেন্টস সক্রান্ত আরও নিউজ পড়ুনঃ

১। গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

২। গাজীপুরে ভুমিকম্প আতঙ্কে নেমে আসলো পোশাকশ্রমিকরা

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password