সমুদ্রের গভীর তলদেশে হাঙররা সাঁতার না কেটে হেঁটে বেড়াচ্ছে। কি শুনতে অনেক অবাক লাগছে না? এটাই এখন সত্যি। “ওয়াকিং শার্ক” বা “হাঁটা হাঙর” এমনই হাঙরের হদিশ মিলেছে উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ গিনির সমুদ্রোপকূলে ।
কিন্তু এই হাঙরগুলো গ্রেট হোয়াইট শার্কের মতো আকারে, আকৃতিতে অতটা বড়
নয়। সমুদ্রের গভীর তলদেশে
যেখানে রাশি রাশি
প্রবালপ্রাচীর রয়েছে, সেখানেই হেঁটে
বেড়ায় এই ছোট্ট
হাঙরগুলো।
একটি আন্তর্জাতিক দলের ১২ বছরের গবেষণায় উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ
গিনির সমুদ্রোপকূলে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। এই গবেষক দলে রয়েছে
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কনজারভেশন ইন্টারন্যশনাল,
সিএসআইআরও, ফ্লরিডা মিউজিয়াম
অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি, ইন্দোনেশিয়ান ইনস্টিটিউট
অব সায়েন্সেস ও ইন্দোনেশিয়ার
সমুদ্র গবেষণা মন্ত্রণালয়।
এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে সমুদ্র গবেষণাবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মেরিন অ্যান্ড ফ্রেশওয়াটার রিসার্চ’-এ । এই প্রজাতির
হাঙরগুলো একটি নির্দিষ্ট
স্থানে অনেকটাই বিচ্ছিন্নভাবে থাকে। আর খুব বেশি দূরত্বেও
যাতায়াত করে না ।
হাঙরদের ছোট একটি গ্রুপ
এই হাঁটার সক্ষমতা অর্জন করেছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম জন্ম থেকেই
হাঁটতে পারবে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন