শেরপুর ৯ তলা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই গত কয়েকদিন ধরে বিকল হয়ে থাকার কারনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।এই দূর্ভোগ চিকিৎসক নার্সদেরও ভোগাচ্ছে। ওই ৯তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল জুড়ে রয়েছে করোনা ইউনিট,জরুরী ভর্তি রোগীর শয্যা,ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ অতি প্রয়োজনীয় সেবা দানের স্থান।
শনিবার ২৮ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১১ঃ৩০ মিনিটের দিকে এক প্রসূতি মাতা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে পাঁচ তলা গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই বাচ্চা প্রসব হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
এদিকে হাসপাতালের লিফট না থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাবেয়া বেগম নামে রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমি মহিলা মানুষ। সাত তলায় আমায় নাতি ভর্তি। বাপুরে অতো উপরে সিঁড়ি বাইয়ে উঠা খুব মুশকিল। আর পারতেছি না। আমি হাই পেশারের রোগী। সেখানে উঠানামা করতে গেলে আমার জান বের হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স বলেন,
৯ তলার হাসপাতালে সিঁড়ি বেয়ে উঠা খুবই ভোগান্তির ব্যাপার। সুস্থ মানুষের পক্ষেই এত উপরে উঠানামা করা দুরূহ। আর রোগীর জন্য বিষয়টা কতটা কষ্টসাধ্য তা বুঝতে বেশি বুদ্ধির দরকার নেই।
জানা গেছে এ বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে লিফট ও ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়।
এই আট মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত তিনবার নষ্ট হয়েছে।সর্বশেষ ২৪ আগষ্ট থেকে অদ্যবদি অর্থাৎ চারদিন ধরে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে করোনা আক্রান্ত,প্রসূতি মাতা,শিশু ও বৃদ্ধরা।
সরজমিনে দেখা গেছে দুটি লিফট এক সাথে বিকল হওয়ায় রোগী, রোগীর স্বজন ও চিকিৎসার সাথে জড়িতরা উঠানামা করতে পারছে না। লিফট বন্ধ থাকায় অতি অসুস্থ মানুষজন সিঁড়ি ব্যবহারে কষ্ট পাচ্ছে। ভোক্তভোগী ও সাধারনের অভিমত এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুইটি লিফট দেওয়া ঠিক হয়নি। যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে।এত প্রয়োজনীয় একটি সেবা ঠিক করতে ১২/১৫ ঘন্টা বা ১ দিনের বেশি সময় লাগাটা দুঃখজনক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন