কোটিপতি হওয়ার রহস্য

কোটিপতি হওয়ার রহস্য

১ম বন্ধু :তুই না কিছুদিন আগে সরকারি চাকরি না পেয়ে জরিনার কাছ থেকে ছ্যাঁকা খেয়ে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াতি? মাত্র অল্প কয়দিনে এত বিরাট বাড়ি, দামি গাড়ি আর কোটি কোটি টাকার সঙ্গে সুন্দরী বউ কোথায় পেলি? লটারি জিতেছিস নিশ্চয়ই?
২য় বন্ধু :না-রে দোস্ত। লটারি জিতিনি।
১ম বন্ধু :তাহলে কোটিপতি বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিস?
২য় বন্ধু :আরে না! কি যে বলিস! তুই কি ভুলে গেছিস যে, আমার বাবা গরিব মানুষ।
১ম বন্ধু :ও, তাই তো! তাহলে কি বড়লোক শ্বশুরের থেকে যৌতুক নিয়েছিস? জানিস না—যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া, দুটোই অপরাধ?
২য় বন্ধু :জানি তো। যৌতুকও নেইনি।
১ম বন্ধু :তাহলে কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিস? আলাদিন বা দৈত্য, এমন কিছু?
২য় বন্ধু :মোটেই না।
১ম বন্ধু :তাহলে! এত অল্প সময়ে, এত ধনী কী করে হলি? পেঁয়াজের ব্যবসা করে? অবশ্য এত পুঁজি তুই কোথায় পাবি?
২য় বন্ধু :আসলে প্রথমে গ্রামে আমার বাড়ির আশেপাশে যত ডোবা, খাল, বিল, পুকুর আর নর্দমা ছিল; সেখান থেকে সব কচুরিপানা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্রি করে অল্প কয়েকদিনেই প্রচুর লাভবান হয়েছি। এখন আমার দেখাদেখি আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কচুরিপানার চাষ হচ্ছে। আমি এখন সেসব সংগ্রহ করে সারা দেশে পাইকারি সেল করি। দেশের মানুষের মাঝে তরকারি হিসেবে কচুরিপানার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভাবছি ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করব। এটাই হলো আমার কোটিপতি হওয়ার রহস্য।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password