আর্থিক অসচ্ছলতায় পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার দশা হয়েছে হৃদয়ের চৌধুরীর। হৃদয় ঢাকার গাবতলীস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর এলএলবি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
হৃদয় মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের মোঃ বাবু মিয়ার ছেলে। হৃদয় সাকরাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে মাধ্যমিক (৪.২১) ও ঝিটকা খাজা রহমত আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (৩.০৪) পাশ করে।
হৃদয়ের সাথে কথা হলে সে জানায়, স্কুলে পড়ার সময় অর্থাভাবে বাবার সাথে আমিও রিক্সা চালিয়ে পড়ালেখার খরচ যোগার করেছি। পরে বাবা রিক্সা বিক্রি করে দিলে কলেজে পড়ার সময় আমি ২ বছর হোটেলে কাজ করে খরচ চালাতাম।
হৃদয় আরো বলে, করোনা আর লকডাউনের কারণে আমার হোটেলের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টারের পরিক্ষা দিতে পারি নি। এখন ভার্সিটি প্রশাসন থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না করলে বা অন্য চাকুরীর ব্যবস্থা না হলে আমার পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে নেয়া সম্ভব না।
হৃদয় নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন