ও নেগেটিভ র'ক্ত দিতে চাই, বিনিময়ে প্রেসক্রিপশন এর ঔষধ কিনে দিবেন আর কিছু বাজার, চাকরি হারা ছোট বাবু, বউ নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি, যত র'ক্ত লাগে নিতে পারেন।
বাবুর জন্য আর তার মায়ের ঔষধ, আমাকে সাহায্য করেন, রক্ত লাগবে নেন,ঢাকা,উত্তরখান, মাজারের পাশে'।
এটা ছিলো কোনো এক বাবার পোষ্ট । এই পোষ্ট দেখে এগিয়ে আসেন কোনো এক মানবিক যোদ্বা।সেই ভাইকে ১ মাসের সম্পুর্ণ বাজার এবং বাচ্চা এবং মায়ের ১ মাসের ওষুধ কিনে দিয়েছে,বলছি মানবিক এক নারীর কথা ।
মাথায় হিজাব ও মুখে মাক্স পরা চেহারা টা মানুষের কাছে পরিচিত হলেও খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ তার চেহারা দেখেছে, বলছি জারা'স এর আঞ্জুমান জারার কথা। ‘জারা'স’ এই নামটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই পরিচিত।
মানবিক সহায়তা করার জন্যই ‘জারা'স’ নামকে বেছে নিয়েছেন তিনি। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মানুষের বিবেগকে জাগ্রত করাই তার মূল উদ্দেশ্য।
জারাস এর আনজুমান জারা বলেন, শুরু টা ছিলো ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে।কাজটি যখন শুরু করি তখন পরিবার এবং আশপাশে যারা আছে সবাই বিষয়টি ভালোভাবেই নিয়েছে এবং আরও বেশি সহযোগিতা করার জন্য আমাকে উৎসাহিত করেছে।
আমার ভিডিও তৈরির প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মানবিক কাজে মানুষকে উৎসাহিত করা।সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশাপাশি ,সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডের সময় চট্রমান থেকে ঢাকায় আসা লোকজনের খাবারের ব্যবস্থা করেন।সিলেট বন্যার্থদের পাশে ছিলেন।নেত্রকোনায় বন্যার্থদের পাশে ছিলেন, ।
অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে জারা'স’ এর মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতাকে।
জারা ভাষ্য মতে, কিছু মানুষ তাকে নানা ধরনের কথা বার্তা বলে মেয়ে বলে তাকে ছোট করে দেখে।এবং ইনবক্সে খারা'প এসএমএস ,সহ নানা ধরনের সমস্যার মুখামুখি হয়েছেন।সব কিছু পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে জারা'স।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন